এতে একটি চক্র যেমন হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ, তেমনি সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। সেই সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন দেশীয় খামারিরা।
তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে যাতে গরু প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, একটি চক্র কৌশলে সীমান্তের কাঁটা তার পেরিয়ে গোরাংগোলা, পুটিয়া, মাদলাসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে রাতের অন্ধকারে এসব গরু দেশে আনছে। পরে চক্রটি সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গরু রাখে এবং দালালদের মাধ্যমে স্থানীয় নয়নপুর বাজারসহ আশে পাশে সীমান্ত ঘেঁষা বেশ কয়েকটি হাটে পাইকাররা দালালদের কাছ থেকে তা নিয়ে বিক্রি করছেন। এ সকল চোরাই গরুর দাম কম হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে চোরাই চক্রের সহযোগিতায় ঐসব বাজার থেকে কৌশলে চালান কেটে ট্রাক বোঝাই করে গরু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
সীমান্ত দিয়ে বৈধ পথে যতগুলো ভারতীয় গরু আসে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সীমান্ত কাঁটা তার পেরিয়ে দেশে ঢুকছে। এসব গরু বাজারে উঠিয়ে নামে মাত্র বিক্রির কথা বলে চালানের মাধ্যমে বৈধ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ জেলার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এর পেছনে কাজ করছে কয়েকটি চক্র। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় খামারিসহ কৃষকরা।
বেশ কয়েকজন খামারি অভিযোগ করে বলেন, অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা গরুর সয়লাবের কারণে দেশীয় খামারিরা লাভতো দুরের কথা পুঁজি হারিয়ে পথে বসবে। তারা অবৈধ পথে গরুর প্রবেশ বন্ধে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
নয়নপুর গরুর বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য নুরুন্নবী আজমল ভারতীয় গরু আসার কথা স্বীকার করে বলেন, শুধু এখান দিয়েই নয় দেশের বিভিন্ন স্থান দিয়েই গরু আসছে।
এ বিষয়ে ৬০ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইকবাল হোসেইন বলেন, আমরা সর্তক অবস্থায় আছি, গরু যখনই আসছে তখনই ধরছি। যাতে দেশীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা সভায় বিজিবি ব্যাটালিয়নের প্রধানদের সীমান্ত দিয়ে যেন অবৈধভাবে গরু আসতে না পারে সে ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।